বাংলাদেশের পোশাক রফতানি: মানবনির্মিত ফাইবারের সম্ভাবনা দ্বিগুণ হওয়ার পথে

বাংলাদেশের পাটশিল্প এক পরিবর্তনশীল সময়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে, যেখানে মানবনির্মিত ফাইবার (এমএমএফ) অথবা অ-তুলা পোশাক রফতানির পরিমাণ আগামী কয়েক বছরে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে এ ব্যাপারে যোগ করা হয়েছে যে, শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সম্ভাবনা পূরণে জরুরি নীতিমালা সমর্থন এবং বিদ্যমান বাধাগুলির সমাধান অত্যন্ত প্রয়োজন।

একটি বিস্তারিত গবেষণা শিল্পের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এমন নীতিগত ইস্যু এবং সীমাবদ্ধতাগুলির উপর আলোকপাত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শুল্কমুক্ত কাঁচামালের সীমিত প্রবেশাধিকার, এমএমএফ আমদানি শুল্কের সাথে তুলার শুল্কমুক্ত অবস্থানের বিরোধ, এবং জটিল শুল্ক নিষ্পত্তি পদ্ধতি।

‘আরএমজি সেক্টরের উন্নয়ন’ শীর্ষক এই গবেষণা, যা রিসার্চ এবং পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আরএপিডি) কর্তৃক প্রণীত, এমএমএফ রফতানি থেকে আয়ের প্রাচুর্যময় বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে, যা বাংলাদেশ ২০টি প্রধান পণ্যের জন্য পূর্বাভাসিত বাজার অংশীদারিত্ব অর্জন করলে এক দশকের মধ্যে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে।

যদিও তুলাভিত্তিক পোশাক রফতানি এখনো প্রাধান্য বিস্তার করে, গত দুই দশকে এমএমএফ পোশাকে ধারাবাহিক উন্নতি হয়েছে।

আমদানির তথ্য বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনে এমএমএফের বাড়তি গুরুত্বের প্রতিফলন করে। বিশেষ করে, পলিয়েস্টার স্ট্যাপল ফাইবার এবং সিন্থেটিক ফিলামেন্ট সুতার আমদানি সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষণীয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অ-তুলা ফাইবারের দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

তুলা বাজারে দৃঢ় অবস্থানের পরও, বাংলাদেশের এমএমএফ এবং মিশ্রিত পোশাকে প্রসারের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ৫.৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে দেশটি চীন এবং ভিয়েতনামের পিছনে রয়েছে, যদিও বিশ্বব্যাপী পোশাক রফতানির পরিদৃশ্যে এমএমএফ এবং মিশ্রিত পোশাক এখন মূল্যের দিক থেকে তুলাকে ছাড়িয়ে