শুভমান-জাদেজার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৪০০ ছাড়াল ভারত

শক্তিশালী জুটি গড়ে তোলেন গিল ও জাদেজা

বার্মিংহামের এজবাস্টনে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দেন ভারতের শুভমান গিল ও রবীন্দ্র জাদেজা। ১৬৮ রানে অপরাজিত গিল ও ৮৯ রানের দৃঢ় ইনিংস খেলা জাদেজা মিলে ২০৩ রানের এক অনন্য ষষ্ঠ উইকেট পার্টনারশিপ গড়েন। তাদের এই জুটির কল্যাণে লাঞ্চে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১৯।

গিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান তুলে নেন এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১৫০ ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েন। অন্যদিকে, জাদেজা দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থেমে যান।

জাদেজার দুর্ভাগ্যজনক বিদায়

জশ টাংয়ের শর্ট বলের ফাঁদে পড়ে ৮৯ রানে আউট হন জাদেজা। অফ স্টাম্পের বাইরে বলটি বাড়তি বাউন্স পেয়ে গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। এই উইকেট ইংল্যান্ডের জন্য খানিকটা স্বস্তি বয়ে আনলেও, গোটা সেশনেই ভারত আধিপত্য ধরে রাখে — একমাত্র উইকেট হারিয়েই তারা সংগ্রহ করে ১০৯ রান, ৪.৩৬ রানের হারে।

গিলের অদম্য লড়াই

সকালের সেশনের শুরুতে বল হাতে আক্রমণে আসেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। নতুন বলে সুবিধা নিতে না পেরে স্পিনারদের আনা হলেও ভারতীয় ব্যাটারদের সামনে তারা ছিলেন নির্বিষ। ব্রায়ডন কার্সের বলে কভার ড্রাইভে চার মেরে গিল নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস স্পর্শ করেন এবং এরপরের দুই বলেই ১৫০ পূর্ণ করেন।

সোয়েব বাশিরকে প্রথমে জাদেজা ছক্কা মারেন এবং এরপর গিল স্লগ সুইপ করে আরো একটি ছক্কা হাঁকান, যার মাধ্যমে ভারতের সংগ্রহ ৪০০ ছাড়ায় এবং তাদের জুটির ২০০ রান পূর্ণ হয়।

লাঞ্চে ভারতীয়দের এগিয়ে থাকা

দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে ভারত ছিল সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। ইংল্যান্ডের বোলাররা বল হাতে সংগ্রাম করলেও ভারতের ব্যাটাররা ছিলেন দৃঢ়। জাদেজা আউট হলেও গিল ছিলেন দৃঢ়চিত্তে অপরাজিত। এরইমধ্যে ভারত নিজেদের বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায়।

ওয়াশিংটন সুন্দর ক্রিজে এসে কিছুটা সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে শর্ট বলের বিরুদ্ধে। তবে গিলের উপস্থিতি তাকে সাপোর্ট দেয়। ভারত চাইছে এই ইনিংস আরও গভীরে টানতে, যেখানে ইংল্যান্ড অপেক্ষায় আছে আরও একটি ধসের।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে নতুন লড়াই

লাঞ্চের পর খেলায় ফিরে আবার ব্যাট হাতে নামেন শুভমান গিল। লক্ষ্য এখন বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাওয়া। উইকেট কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও, গিলের ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস ভারতের ইনিংসের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।

স্টোকসের নির্দেশনায় শর্ট বলের কৌশল বজায় রেখেছে ইংল্যান্ড। এখন দেখার বিষয়, ধৈর্য ও পরিকল্পনার এই লড়াইয়ে কে আগে চোখের পলকে হার মানে — ভারতীয় ব্যাটিং নাকি ইংলিশ বোলিং।